কক্সবাজারের দরিয়ানগর এলাকায় সমুদ্রসৈকত থেকে উদ্ধার করা লাশটি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার কলেজছাত্র সাগর হোসেনের (১৮)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গতকাল বুধবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে দরিয়ানগর পয়েন্টে সমুদ্রসৈকতে ভাসমান অবস্থায় তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাগর হোসেন নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ছাতমা গ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে। তিনি রাজশাহী শাহ মখদুম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া লাশের ছবি ও ভিডিও দেখে পরিবারের লোকজন সাগরের লাশ শনাক্ত করেছেন।
সাগর হোসেনের মামা হেলাল উদ্দিন বলেন, বুধবার রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখে ভাগনে সাগরকে চিনতে পারেন তাঁরা। বাড়ির কাউকে কোনো কিছু না জানিয়ে সাগর কার সঙ্গে কক্সবাজারে গেলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
পরিবার ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, ৪ ডিসেম্বর গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন সাগর। তবে কীভাবে কার সঙ্গে সাগর কক্সবাজার গিয়েছিলেন, তা পরিবারের কেউ জানেন না। তাঁর পরিবারে বাবা-মা ও পাঁচ বছরের ছোট বোন আছে। সাগরের লাশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে আজ সকালে কক্সবাজারের পথে রওনা হয়েছেন স্বজনেরা।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে কক্সবাজার সদর থানা-পুলিশ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন নিয়ামতপুর থানার ওসি মাইদুল ইসলাম।