নাটোরের লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ‘মৃত’ সনদ দেওয়া বৃদ্ধ ছখিনা বেগম (৮৪) বয়স্ক ভাতার তিন মাসের টাকা ফেরত পেয়েছেন। আজ রোববার সকালে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহক আলীর মাধ্যমে ছখিনাকে দেড় হাজার টাকা ফেরত দেন। মৃত দেখিয়ে তিন মাস ধরে তাঁকে ভাতার টাকা দেওয়া বন্ধ ছিল।
ভাতার টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ছখিনা বেগম বলেন, ‘আমি ভিক্ষা করে খাই। আমার জন্য এই ট্যাকাটা অনেক কিছু। আমি যেন এই সুবিধা থেকে বাদ না যাই।’
১২ নভেম্বর ‘ভাতা বন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে বৃদ্ধা জানলেন, তিনি “মারা গেছেন”’ শিরোনামে প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি সবার নজরে আসে। সমালোচনার মুখে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহক আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভুক্তভোগী বৃদ্ধা ছখিনা বেগমের ভাতার টাকা ফেরত দিতে চান। পরে আজ সকালে জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের ভাতার ১ হাজার ৫০০ টাকা উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন। পরে ইসাহক আলী তাৎক্ষণিক ওই টাকা ছখিনা বেগমের কাছে পৌঁছে দেন।
এদিকে রোববার বেলা ১১টার দিকে নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বৃদ্ধ নারীর মৃত্যু সনদ দেওয়ার বিষয়টি উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম। তিনি ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ভাতা তালিকায় বৃদ্ধার নাম আবার অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। পরে জেলা প্রশাসক লালপুরের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহক আলীকে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে বলেন। এ সময় ইসাহক আলী ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীকে ইতিমধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, মৃত্যু সনদ পাওয়া বৃদ্ধার নাম আবার ভাতা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।