বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে ‘গায়েবি’ মামলায় দলটির ৫৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে বিএনপির রাজশাহী মহানগরের মালোপাড়া কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার। সংবাদ সম্মেলনে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, বিএনপির গণসমাবেশ সামনে রেখে কিছু পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে তাঁদের নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ মামলা দিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত শতাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সে জন্য তাঁদের লোকজনকে আগেই আসতে হবে। অনেকে আসা শুরু করেছেন। এসব লোকের আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা প্রশাসক তাঁদের বলেছিলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠ ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু তিনি পদ্মা পাড়ের খালি জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন। তাঁরা সেখানে একটি জায়গায় ৫০ হাজার টাকা দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। এটা বানানো শেষে পুলিশ এসে ভেঙে দিয়েছে।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে তাঁরা বুকিং দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের নারী নেতা-কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিছু উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা কমিউনিটি সেন্টারের মালিকদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী উঠলে সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। পুলিশ যদি সরকারি দলের দায়িত্ব পালন করে, তাহলে কোথায় যাব। সব পুলিশকে বলছি না। কিছু পুলিশ এ ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। পুলিশ নানা জায়গায় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমাবেশে না আসার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বলছে, যারা রাজশাহীতে যাবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
কোনো হুমকি, মামলা ও বাধা দিয়ে গণসমাবেশ বন্ধ করা যাবে না বলে উল্লেখ করে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, আজ থেকেই হাজার বাধা অতিক্রম করে লোকজন চলে আসবে। এই সমাবেশ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে।