দেশে কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা হলে আবারও শাপলা চত্বরে যাওয়া (সমাবেশ) হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলে দিই, কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন সংশোধন করার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। এমন আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা হলে প্রয়োজনে আবারও শাপলা চত্বরে যাব।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর শহরের সিংহজানী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মামুনুল হক। ‘শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও ছাত্র–জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে’ এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মামুনুল হকের দাবি, শিক্ষাব্যবস্থায় কমিশন গঠন করে দেশে সমকামিতা আমদানি করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বাস্তবায়নে জন্য কিছু কিছু এনজিওকে নিয়ে সরকারের ভেতর থেকে এ কাজ করা হচ্ছে। শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে তাগিদ দেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে মামুনুল হক আরও বলেন, ‘দেশবিরোধী এবং দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কথা আমরা বরদাশত করব না। ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেব না। আপনারা আমাদের সম্মিলিত সংগ্রামের ফসল। আমরা চাই না আবার ফ্যাসিবাদ জন্ম নিয়ে আপনাদের ব্যর্থ করে দিক। তাই আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করছি। কিন্তু আমাদের এ ধৈর্যকে দুর্বলতা ভাবলে সরকার বোকামি করবে।’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে মামুনুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছিল শেখ হাসিনা পালায় না। এখন বাংলাদেশের মানুষ আপনারা বলেন শেখ হাসিনা পালায় কি না। সবাইকে এখান থেকে শিক্ষা নিতে বলব। দেশের মানুষকে গুম-খুন করে এবং দেশের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না।’
দেশে আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উন্নয়নকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশকে ভারত নিজেদের অঙ্গরাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মামুনুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা (ভারত) সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। তাদের (ভারত) একতরফা প্রশ্রয়ের সুযোগ নিয়ে শেখ হাসিনা এই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।’
খেলাফত মজলিশের জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মুহাম্মদ আলী খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসানাত জালালী, সহবাইতুল মাল-সম্পাদক ফজলুর রহমান প্রমুখ।