পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এক যুবককে লোহার রড দিয়ে মারধর করার অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম (৩৫) নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার মারধরের এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনা জানার পর আজ রোববার সকালে সিরাজুলকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আহত যুবক হলেন মকবুল হোসেন প্রামাণিক (৩৫)। তিনি উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের টলটলিপাড়ার মৃত শফিউদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। এদিকে কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম চাটমোহর থানায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি মকবুলের ভাই সাবেদ প্রামাণিকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওই বাড়িতেই এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির মালিক সাবেদ প্রামাণিক বিদেশে থাকেন। তাঁর ভাই মকবুল বাড়িটি দেখাশোনা করেন। কয়েক দিন ধরে বাড়িটিতে মেরামতের কাজ চলছিল। গতকাল সকালে মকবুল মেরামতের জিনিসপত্র সরাচ্ছিলেন। এ সময় বাড়ির ভাড়াটিয়া কনস্টেবল সিরাজুল বাড়ির ফটকে মোটরসাইকেল রেখে ভেতরে যান। এতে জিনিসপত্র বের করতে সমস্যা হয়। মকবুল মোটরসাইকেল সরাতে বললে সিরাজুল ক্ষেপে ওঠেন।
এ নিয়ে দুজনের কথাবার্তার একপর্যায়ে সিরাজুল ক্ষিপ্ত হয়ে মকবুলকে রড দিয়ে মারধর করতে থাকেন। এতে তাঁর মাথায় কেটে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে কনস্টেবল সিরাজুল ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে আহত অবস্থায় সিরাজুলকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ঘটনা জানার পরই পুলিশ কনস্টেবল সিরাজুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে আজ সকালে তাঁকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।