কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই পক্ষের মারামারির কিছুক্ষণ পর সাহারা খাতুন (৬০) নামের এক নারী মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়ায় তাঁর এক বোনের বাড়িতে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন খোদেজা বেগম (৫০), খোদেজার আত্মীয় রতন মিয়া (৫৮), রতনের মেয়ে প্রীতি বেগম (২৩) ও সুমা বেগম (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, সাহারা খাতুনের বাড়ি ভৈরব উপজেলার আগানগর এলাকার গকুলনগর গ্রামে। তাঁর স্বামীর নাম বাবুল মিয়া। ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়ার মাজহারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন তিনি। একই মালিকের বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন খোদেজা বেগম নামের এক নারী। আজ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সাধারণ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে খোদেজা ও সাহারার মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা এসে ঝগড়া থামান। তখন সাহারা পাশেই বোনের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে আকস্মিকভাবে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
সাহারার পরিবারের দাবি, ঝগড়ার সময় মারধরের শিকার হয়েছিলেন সাহারা। মারধরের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ হেফাজতে থাকা খোদেজা বেগম ঝগড়ার কথা স্বীকার করলেও সাহারাকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন।
ভৈরব থানার উপপরিদর্শক ফরিদুজ্জামান বলেন, মৃত্যুর আগে খোদেজা নামের এক নারীর সঙ্গে সাহারার ঝগড়া হয়েছিল। সাহারার মৃত্যু হয় তাঁর বোনের বাড়িতে। আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।