বিয়ে শেষে নববধূকে নিয়ে বর ট্রলারে করে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু তিনি আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। পথে ঝড়ের কবলে পড়ে তেঁতুলিয়া নদীতে বরযাত্রীবাহী ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ওই ট্রলারের এক যাত্রী নিহত ও বরসহ চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ট্রলারডুবিতে নিহত ওই যাত্রীর নাম লিপি বেগম (৩০)। তিনি দশমিনা উপজেলার উত্তর রনগোপালদি গ্রামের ধলু হাওলাদারের স্ত্রী। এ ঘটনায় বর রাব্বি হাওলাদার (২০), তাঁর মা সেলিনা বেগম (৪৫), নিহত লিপি বেগমের মেয়ে খাদিজা (৮) ও মারিয়া (৮) এবং আরেক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনার পর পটুয়াখালী থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডুবুরির দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে এখনো ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, শুক্রবার বিকেলে দশমিনার রনগোপালদি ইউনিয়নের উত্তর রনগোপালদি গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি বিয়ে করার জন্য স্বজনদের নিয়ে ট্রলারে কনের বাড়ি উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের চর শাহজালালে যায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে শেষে বরযাত্রীরা ট্রলারে উত্তর রনগোপালদি আসছিল। বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে বরযাত্রীবাহী ট্রলারটি। একপর্যায়ে তেঁতুলিয়া নদীর স্রোতে ট্রলারটি ১৫ থেকে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এ সময় অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও পাঁচজন নিখোঁজ হন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন লিপি বেগমের লাশ উদ্ধার করলেও বর, বরের মা ও দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে ট্রলার ডুবির খবর পেয়ে পটুয়াখালী থেকে নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তেঁতুলিয়া নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া যায়নি । এখন পর্যন্ত দুই শিশুসহ চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার সকালে আবার উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।