জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় স্বাভাবিক প্রসবে খুশি বেগম (৩০) নামের এক নারী একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পর তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়। বাকি এক নবজাতককে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার সন্তানের জন্ম দেন ওই প্রসূতি। খুশি বেগম ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল গিলাবাড়ী এলাকার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। পেশায় পোশাকশ্রমিক খুশির স্বামী ঢাকায় রিকশা চালান। তিন সপ্তাহ আগে খুশিকে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চারজনের মধ্যে তিনটি ছেলে ও একটি কন্যাসন্তান। তাদের মধ্যে দুই ছেলে ও এক কন্যাসন্তান মারা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে প্রসববেদনা নিয়ে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন খুশি বেগম। সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর স্বাভাবিক প্রসব হয়। জন্মের পর চার নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নবজাতকদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়। বাকি এক নবজাতককে ওই হাসপাতালের এনআইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগে তিন নবজাতক মারা যায়। এক নবজাতককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাড়ে ছয় মাস বয়সে ওই নারীর সন্তানদের প্রসব হয়। অপরিণত হওয়ায় জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিন সন্তানের মৃত্যু হয়। নবজাতকগুলোর ওজন মাত্র ৬০০ গ্রাম হয়েছিল। এনআইসিইউতে থাকা ছেলে নবজাতকের অবস্থাও ভালো নয়। তারও ওজন মাত্র ৬০০ গ্রাম। তাকে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খুশি বেগমের বড় বোন পারুল বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোনের কোনো সন্তান নেই। একসঙ্গে চার সন্তান হওয়ায় খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু সময় হওয়ার আগেই সন্তানগুলো জন্ম নিয়েছে। জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনটি সন্তান মারা গেছে। একসঙ্গে তিন সন্তানের মৃত্যুতে তাঁরা ভেঙে পড়েছেন। বাকি এক সন্তানের জন্য সবার কাছে তিনি দোয়া চেয়েছেন।