গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে জুয়েল আকন্দের ‘এক টাকার হোটেল’
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে জুয়েল আকন্দের ‘এক টাকার হোটেল’

ইফতারে যে পদ না হলেই নয়, সেসব জুয়েল বিক্রি করছেন ১ টাকায়

গাইবান্ধার স্থানীয় বাজারে খেজুর, পিঁয়াজু, বেগুনি ও আলুর চপ প্রতিটি পাঁচ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের জুয়েল আকন্দের ‘এক টাকার হোটেলে’ এসব পদ প্রতিটি মাত্র এক টাকায় পাওয়া যায়। পবিত্র রমজান উপলক্ষে এ বিশেষ ছাড়।

গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে ফরিদপুর গ্রাম। গ্রামের এই হোটেল থেকে যে কেউ এই দামে ইফতারির পদ কিনতে পারেন। অন্য খাদ্যসামগ্রীতেও ছাড় দিয়েছেন তিনি। প্রতি প্লেট ভুনা খিচুড়ি ১৫ টাকায়, চিকেন বিরিয়ানি ২৫ টাকায় বিক্রি করছেন, যা আশপাশের দোকানের চেয়ে দামে অনেক কম।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ইফতারির নানা পদ তৈরিতে ব্যস্ত হোটেলমালিক। হোটেলে ভেতরে বসে খাওয়ার জন্য চেয়ার-টেবিল ও সোফার ব্যবস্থা আছে। হোটেলের সামনে আছে ছাতা, এর নিচে চেয়ার সাজানো।

কথায় কথায় হোটেলমালিক জুয়েল আকন্দ বলেন, গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য তিনি ইফতারসামগ্রীর দাম কমিয়েছেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী লিপি আহমেদ এসব তৈরি করেন। তিনি নিজে বসে বিক্রি করেন। তাই লাভ না করে কম দামে বিক্রি করতে পারছেন। তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেন স্ত্রী। তিনি বলেন, সংসারের কাজের পাশাপাশি তিনি দোকানের কাজে সহযোগিতা করেন।

হোটেলে আসা ফরিদপুর গ্রামের দিনমজুর রফিকুল মিয়া (৫০) বলেন, কয়েক দিন ধরে তিনি এক টাকার হোটেল থেকে ইফতারি কিনছেন। পাঁচ টাকা দামের ইফতারসামগ্রী এক টাকায় বিক্রি করার উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি।

একই গ্রামের রিকশাচালক বাবলু মিয়া (৪৫) বলেন, এখন বাজারে এক টাকা দিয়ে কোনো জিনিসই পাওয়া যায় না। এই হোটেলে এক টাকায় যেসব ইফতারি পাওয়া যাচ্ছে, বাজারে সেগুলো পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রাজা মিয়া বলেন, ইফতারে যেসব খাদ্য না হলে হয় না, সেগুলো জুয়েল আকন্দ এক টাকা করে বিক্রি করছেন। তাঁর উদ্যোগ খুবই ভালো, এতে কম আয়ের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।