মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙনের পর ১০ গ্রামের মানুষের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেলে রাস্তাঘাট। বুধবার বিকেলে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়কুট এলাকায়
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙনের পর ১০ গ্রামের মানুষের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেলে রাস্তাঘাট। বুধবার বিকেলে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়কুট এলাকায়

কমলগঞ্জে ধলাই নদের বাঁধে ৩ স্থানে ভাঙন, ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী

টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের তিন জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে নদের পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা পানিবন্দী মানুষের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করেছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধলাই নদের পানি বেড়ে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ, রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ও মুন্সিবাজার ইউনিয়নের খুশালপুরে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এতে কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের ছয়কুট এলাকা ও আদমপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি-আধাকানি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া নদের রামপাশা, শিমুলতলাসহ ১২টি স্থানের বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় সেখানে ভাঙন দেখা দিতে পারে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাঁধ ভেঙে উপজেলার নারায়ণপুর, চৈতন্যগঞ্জ, বাঁধে উবাহাটা, খুশালপুর ছয়কুট, বড়চেগ, জগন্নাথপুর, প্রতাপী, গোপীনগর, আধাকানী, কাঁঠালকান্দিসহ ১০টি গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। এ ছাড়া লাঘাটা ও খিন্নি ছড়ার পানি উপচে কমলগঞ্জ পৌর এলাকার খুশালপুর, নিম্নাঞ্চল পতনউষার, মুন্সিবাজার, আদমপুর, ইসলামপুর ও আলীনগর এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ধলাই নদের পানি বেড়ে প্রতিরক্ষা বাঁধের তিনটি স্থান ভেঙে গেছে। ১০টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষের বাড়িতে পানি উঠেছে। তবে এই পানি নেমে যাবে। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। সব কটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে।