নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মীদের মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড হয়ে যায়
নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মীদের মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড হয়ে যায়

নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পুলিশের লাঠিপেটা ও ধাওয়ায় পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় দুজন আহত হন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাষাঢ়ায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এ সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা শহীদ মিনারে গিয়ে তাঁদের বাধা ও শহীদ মিনার ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু জড়ো হওয়া ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মী বাধা উপেক্ষা করে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে পুলিশ কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় দুজন আহত হন।

শিক্ষার্থীরা পুনরায় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শহীদ মিনারের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন ও পুলিশকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শিক্ষার্থীরা নগরের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকার সড়কে অবস্থান নেন। সেখানে দুই নারী শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। তাঁরা মোমবাতি প্রজ্বালনের চেষ্টা করলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলেও পুলিশের লাঠিপেটা ও ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছি। আমরা পুলিশের এই হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অভিভাবক ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা কমিটির সভাপতি ধীমান সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত সহপাঠীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি ছিল শহীদ বেদিতে। তাঁরা জড়ো হওয়ার আগেই শতাধিক পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁদের বেদম লাঠিপেটা করে। তাঁদের এই কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি। শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নির্যাতনের ঘটনা আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। লাঠিপেটা করার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।