বাগেরহাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। রোববার বিকেলে সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে
বাগেরহাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। রোববার বিকেলে সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে

রাষ্ট্রপতিকে সম্মান রেখে বিদায় নিতে বললেন চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা পালানোর পর রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, পদত্যাগপত্র পেয়েছেন। কিছুদিন পর বললেন, তিনি পদত্যাগপত্র পাননি। তিনি কচ্ছপের মতো আচরণ করছেন। বিপদ দেখে মাথা গুটিয়ে নিয়েছেন, বিপদ গেলে আবার মাথা বের করেছেন। সম্মানের সঙ্গে পদত্যাগ করে চলে যান। আর তা না হলে আপনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’

আজ রোববার বিকেলে বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, ‘কারও লেজুড় হতে চাই না। বিগত সময়ে যাঁরা ক্ষমতায় গিয়েছেন, তাঁরা ইসলামের বারোটা বাজিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর ইসলামী রাষ্ট্রের পর্যায়ে যাওয়ার একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ইসলামী দলগুলো একত্র হলে এবং একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করতে পারলে আশা করা যায়, ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে।’

চরমোনাই পীর বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে যাঁরা দেশের ক্ষমতায় বসেছেন, তাঁরাই স্বৈরাচার হয়েছেন। গত দেড় দশকের এক স্বৈরশাসকের কবল থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন বাংলাদেশে আর কেউ স্বৈরশাসক না হতে পারে, এ জন্য পিআর সিস্টেম বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনপদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে।’

রেজাউল করিম আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগসহ সব দুর্নীতিবাজের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। দেশের সব দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলার সভাপতি মাওলানা মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা শোয়াইব হোসেন, জেলা কমিটির উপদেষ্টা মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক কাসেমী, বাগেরহাট জেলার সহসভাপতি মাস্টার মকবুল হোসেন প্রমুখ। সমাবেশে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।