মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শোক প্রকাশ করায় সিরাজগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আট নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুমন রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ আগস্ট সাঈদীর মৃত্যুর পর এসব নেতা তাঁদের ফেসবুকে সাঈদীর ছবিসহ স্ট্যাটাস দিয়ে শোক প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা ক্ষুব্ধ হন। যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ জরুরি সভা ডেকে যাচাই-বাছাই করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে ২৩ আগস্ট রাতে একই অপরাধে জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন চৌহালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপশিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার শিহাব ও দুর্গানগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ, সলঙ্গার ধুবিল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাওন হাসান, হাটিকুমরুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আবদুস সোবহান ও হাটিকুমরুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রাথমিক সদস্য আমিনুল ইসলাম।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর শোক জানিয়ে এসব নেতা ফেসবুকে পোস্ট দেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী এমন কাজে জড়িত থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।