জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের কুমারীয়া বটতলা এলাকায় এক তরুণীর গলাকাটা লাশ পাওয়া গেছে। আজ রোববার দুপুরে ওই তরুণী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ওই তরুণীর মা নিখোঁজ রয়েছেন।
লাশ উদ্ধার হওয়া তরুণীর নাম কাজলী আক্তার (৩০)। তিনি একই ইউনিয়নের নানিন্দা এলাকার নয়াপাড়া গ্রামের মোস্তফা কামালের মেয়ে। নিখোঁজ তাঁর মা হলেন জোসনা বেগম। পুলিশ বলছে, তরুণীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে কী কারণে এবং কে বা কারা হত্যা করেছে, তা জানা যায়নি।
নিহত তরুণীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেয়ের চাকরির বিষয়ে কথা বলার জন্য গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কাজলী আক্তার ও তাঁর মা জোসনা বেগম এক নেতার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। সঙ্গে তাঁরা দই, মিষ্টি ও পিঠা নিয়ে যান। এরপর রাতে তাঁরা দুজন আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। আজ বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের কুমারীয়া বটতলা এলাকার একটি বাঁশঝাড়ের নিচে স্থানীয় লোকজন লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে দুপুরে সদর থানা-পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। মর্গে গিয়ে লাশটি কাজলী আক্তারের বলে তাঁর বাবা মোস্তফা কামাল শনাক্ত করেন।
মোস্তফা কামাল বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত মা-মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেন। এ সময় তাঁর মেয়ের ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। আজ দুপুরে তিনি জানতে পারেন, পুলিশ একটি লাশ উদ্ধার করেছে। পরে তিনি মর্গে গিয়ে দেখেন, সেটা তাঁর মেয়ের লাশ। কিন্তু তিনি তাঁর স্ত্রী জোসনা বেগমের এখনো কোনো খোঁজ পাননি।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তরুণীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি অনুসন্ধানে একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।