গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় গুলিতে পরাজিত প্রার্থীর এক সমর্থক নিহতের ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০–৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম ওসিকুর ভূঁইয়া (২৭)। তিনি উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় চা-বিক্রেতা ছিলেন। সদ্য সমাপ্ত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক ছিলেন তিনি। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, হামলাকারীরা বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থক ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে গুলি ও সহিংসতার ঘটনায় ওসিকুরসহ ছয়জন আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
গুলিবিদ্ধ হয়ে ওসিকুরের মৃত্যুর প্রতিবাদে পর দিন বুধবার দুপুরে তাঁর লাশ নিয়ে গোপালগঞ্জের চেচানিয়াকান্দি এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন লিয়াকতের সমর্থকেরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা জানান, আগামীকাল শনিবারের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়াকে প্রধান আসামি ও তাঁর ছোট ভাইয়ের শ্বশুর কালু ভূঁইয়া ও তাঁর ছেলে চয়ন ভূঁইয়া, সমর্থক হিদু ভূঁইয়া, ইউপি সদস্য হান্নান, মিনহাজ ভূঁইয়াসহ মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।