বান্দরবান জেলা শহরতলির গোধারপাড়া এলাকায় আজ শনিবার বিকেলে এফ দীপঙ্কর মহাথের ওরফে ধুতাঙ্গ ভান্তে নামের এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পলিশ। তিনি ওই এলাকার আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর হাতের লেখা দুটি চিরকুট দেখে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের ধারণা।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, জেলা শহরের গোধারপাড়া থেকে আধা কিলোমিটার দূরে আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারে সকালে উপাসক-উপাসিকারা গেলে ধুতাঙ্গ ভান্তকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ধুতাঙ্গ ভান্তে একটি গুহায় ধ্যান করেন। ধ্যানের ওই গুহাকে ঘিরে কয়েক বছর আগে আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার গড়ে উঠেছে। ওই বিহারে তিনি শিষ্যসহ থাকতেন। বিহারটি জেলা শহরতলিতে হলেও রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নে পড়েছে। বান্দরবান ছাড়াও রাঙামাটির বিলাইছড়ি ও চট্টগ্রামে আরও কয়েকটি স্থানে তাঁর বিহার রয়েছে। ৫২ বছর বয়সী ভান্তের বাড়ি ফটিকছড়িতে এবং তাঁর গৃহী নাম দীপঙ্কর বড়ুয়া।
আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারের সেবক বোধিসত্ত্ব বড়ুয়া জানিয়েছেন, অনেক শিষ্য থাকলেও ধুতাঙ্গ ভান্তে গুহার একটি কুটিরে রাতে ধ্যানমগ্ন হয়ে একাই থাকতেন। বিহারের অন্য কুটিরে থাকতেন শিষ্যরা। একজন উপাসক জানিয়েছেন, ভান্তে প্রতিদিন রাত ৮ থেকে ৯টার দিকে তাঁর কুটিরের যাওয়ার জন্য ঘণ্টা বাজাতেন। ঘণ্টা বাজার অপেক্ষায় তাঁরা উপাসক-উপাসিকারা ছিলেন। গভীর রাতেও ঘণ্টার শব্দ না পেয়ে রাত সোয়া ১টার দিকে খোঁজ নিতে গেলে গুহার কুটির দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। জানালা দিয়ে দেখতে পাওয়া যায়, ভান্তে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন।
পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেছেন, ভিক্ষু দীপঙ্কর মহাথেরর রেখে যাওয়া চিরকুট ও পারিপার্শ্বিক অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।