নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ২০ বছর আগের একটি কবরের পাশের মাটি সরে গিয়ে কাফনে মোড়ানো লাশ বেরিয়ে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অনেকে কবরস্থানের ছবি ও ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। দূরদূরান্ত থেকে অনেকে সেটি দেখতে ভিড় করেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাবিলপুর গ্রামের সুফি সাহেব হুজুরের মাজারসংলগ্ন জায়গায় একটি কালভার্টের মাটি কাটতে গিয়ে কবরটির একাংশের মাটি সরে যায়। এতে প্রথম দিকে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করলেও মুহূর্তেই বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় অসংখ্য লোক সেখানে ভিড় করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সেনবাগের কুতুবেরহাট-লেমুয়া সড়কে নতুন কালভার্ট বানানোর জন্য খননযন্ত্র দিয়ে পাশের খাল থেকে মাটি কাটা হচ্ছিল। এতে কাবিলপুর সুফি সাহেবের মাজারসংলগ্ন কবরস্থানের মাটি ভেঙে পড়ে একটি কবর থেকে কাফনে মোড়ানো লাশ বেরিয়ে আসে।
কাবিলপুর গ্রামের লোকমান মিয়া (৭৫) বলেন, এ অঞ্চলের বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন সুফি সাহেব। তাঁর ভাতিজা সফিউল্যাহকে ওই জায়গায় দাফন করা হয়েছিল। ২০০২ সালে তিনি মারা গিয়েছিলেন। এলাকায় তিনি নামাজি ও ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কবরের একাংশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় লাশটি পুনরায় অন্যত্র দাফন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কিন্তু মৃতের পরিবারের সদস্যরা লাশটি অন্যত্র দাফনের বিরোধিতা করলে এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। খবর পেয়ে সেনবাগ থানা-পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে একই কবরস্থানের বিকল্প জায়গায় লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেন। রাত নয়টার দিকে লাশটি ওই কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, একটি কালভার্টের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে ২০ বছর আগে দাফন করা একটি কবরের একাংশের মাটি সরে যায়। এত আগে দাফন করা লাশের কাফনের কাপড় অক্ষত থাকায় মানুষজনের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। লাশটি পুনরায় অন্যত্র দাফন নিয়ে স্বজনদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।