প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন আতিকুল ইসলাম (২৮)। ঘটনা জানাজানি হলে মামলা করেন তাঁর শাশুড়ি। আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হতেই জামাতাকে ছুরিকাঘাত করেন শ্বশুর।
আজ বুধবার বেলা সোয়া একটার দিকে রাজশাহী মহানগর আদালত-২–এর সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শ্বশুর মো. শাহীন (৪০) ও শ্যালক রাব্বিকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ। আতিকুল ইসলামের বাড়ি কাটাখালী থানার বেলঘোরিয়া এলাকায় ও শ্বশুরের বাড়ি কাটাখালী থানার শ্যামপুর এলাকায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে আতিকুল ইসলামের সঙ্গে শাহীনের মেয়ে শাহরিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আতিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, এটা তাঁর প্রথম বিয়ে। কিছুদিন পর শ্বশুর জানতে পারেন যে আতিকুল আগেও বিয়ে করেছেন। এরপর তাঁর শাশুড়ি লাভলী বেগম গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগর (কাটাখালী থানার আমলি) আদালত-২–এ একটি নালিশি মামলা করেন। এতে আতিকুল ইসলাম, তাঁর মা-বাবাসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
আদালত মামলা আমলে নিয়ে কাটাখালী পৌরসভার মেয়রকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। মেয়রের প্রতিবেদন পেয়ে আদালত আসামিদের প্রতি গত ১০ জুলাই সমন জারি করেন। আজ আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। বিচারক মাসুদুজ্জামান তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন নিয়ে আদালত থেকে বাইরে বের হতেই শাহীন ও তাঁর ছেলে রাব্বি ছুরি নিয়ে আতিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। আদালত চত্বরে উপস্থিত লোকজন তাঁদের ধরে ফেলেন। তাঁরা বাবা ও ছেলেকে আদালতের ভেতরে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। রাজপাড়া থানার পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র চিকিৎসক শঙ্কর কে বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ছুরির আঘাতে আতিকুল ইসলামের পিঠের তিন জায়গায় জখম হয়েছে। জখমগুলো গুরুতর ছিল না। এ জন্য হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নগরের রাজপাড়া থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।