অবৈধ মজুত, অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া, প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার ও লাইসেন্স না থাকায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় চারটি চালকলকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার শাহবন্দেগী ও মির্জাপুর ইউনিয়নে এসব অভিযান চালানো হয়।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন জিহাদী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন, শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন এ কাইয়ুম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলমান এই অভিযানে উপজেলার আলাল অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস, মকলেস ফুড প্রোডাক্টস, ভাই ভাই ফুড প্রোডাক্টস ও শাহ সুলতান ফুড প্রোডাক্টসকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে অতিরিক্ত মজুত ও ভাউচারের সঙ্গে দামের মিল না পাওয়ায় আলাল অ্যাগ্রো ফুডকে ১ লাখ টাকা, লাইসেন্সবিহীন মোড়কজাত পণ্য মজুত ও অতিরিক্ত মূল্য রাখায় মকলেস ফুডকে ১ লাখ টাকা, প্লাস্টিক বস্তা ব্যবহার ও লাইসেন্স না থাকায় ভাই ভাই ফুডকে ৫০ হাজার টাকা ও প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়কজাত করায় শাহ সুলতান ফুডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান শেষে শেরপুরের ইউএনও সুমন জিহাদী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। চালের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য এবং সিন্ডিকেট করে যাঁরা চালের দাম বৃদ্ধি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।