চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির পর ফটকে পুলিশের অবস্থান। আজ দুপুরে
চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির পর ফটকে পুলিশের অবস্থান। আজ দুপুরে

এমইএস কলেজে ছাত্রদল-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধ

চট্টগ্রাম নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আবদুল আল মামুন নামের ওই শিক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। আজ সোমবার দুপুরে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে ব্যানার টাঙাতে গেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্যাম্পাসের বাইরে কয়েকটি পটকা ফাটানো হয়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই দিনের জন্য কলেজের ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম সিদ্দিকী। তিনি সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ মামুন নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন বাসায় আছে। তার পায়ে গুলি লেগেছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৫ আগস্টের পর কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে আজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে ব্যানার টাঙিয়ে কর্মসূচি পালন করতে আসেন। এ নিয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পটকা ফাটানো হয়। পরে শিক্ষক ও পুলিশের সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো দলের ছাত্ররাজনীতি তাঁরা চলতে দেবেন না। এ ঘোষণা আগেও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রদল ব্যানার টাঙিয়ে কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিল। তাই শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছেন। একপর্যায়ে গুলি ছোড়া হয়। এতে মামুন আহত হয়েছেন। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে।

শিক্ষার্থীদের বক্তব্যের বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম বলেন, তাঁরা কলেজে কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী এসে কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চান। তাঁরা ওই শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি সম্পর্কে সব তথ্য জানিয়েছেন। কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। গোলাগুলির সঙ্গে তাঁদের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নন। তবে নেতা-কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর আগেই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

তবে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ দাবি করেন, এমইএস কলেজে কোনো ধরনের গোলাগুলি হয়নি।