ভোটারদের বিলির জন্য টাকাভর্তি একটি ব্যাগ নিয়ে ঘুরছিলেন ৪৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। পাশ দিয়ে একটি গাড়িতে করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যাওয়ার সময় টাকাভর্তি ওই ব্যাগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। ধাওয়া দিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটকের পর তাঁর ব্যাগে পাওয়া যায় পাঁচ লাখ টাকা।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিববাড়ি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তির নাম মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ওই এলাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের পক্ষে টাকা বিলি করছিলেন বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকার করেছেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘুষ দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন মঈনুল। তবে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন এলাকা থেকে আটক হলেও তিনি ওই এলাকার ভোটার নন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পীরখাইন এলাকায়। তাঁর বাবার নাম মো. সামশুল ইসলাম চৌধুরী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আবু তৈয়ব প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তির সঙ্গে আবদুল মোতালেবের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আবদুল মোতালেবের মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানেও চাকরি করেন না।
সাতকানিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁকে জরিমানা করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের পক্ষে টাকা বিলি করছিলেন জানালেও প্রার্থী মোতালেব বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। মঈনুলের ব্যাগে থাকা পাঁচ লাখ টাকা জব্দ করার পর তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।