অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর ক্রুদের স্বাগত জানানো হয়। আজ দুপুরে
অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর ক্রুদের স্বাগত জানানো হয়। আজ দুপুরে

আবারও বাংলাদেশে এল ‘অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল’

উড়োজাহাজে স্থাপিত বিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত চক্ষু চিকিৎসাশিক্ষা ও সার্জিক্যাল হাসপাতাল ‘অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল’ ১১তম বারের মতো বাংলাদেশে এসেছে। চক্ষুরোগ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুনির আহমেদ, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর ও চিটাগাং আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সের (সিইআইটিসি) অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান ওসমানী ক্রুদের বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। বাংলাদেশে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের প্রথম প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। ২০১৭ সালে সর্বশেষ কর্মসূচি হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার চক্ষুচিকিৎসক ও চক্ষু খাতের অন্য পেশাজীবীদের সরাসরি অস্ত্রোপচার ও রোগীদের যত্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ দেবেন অরবিসের কর্মী (ক্লিনিক্যাল স্টাফ) ও স্বেচ্ছাসেবকেরা। ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। এ সময় কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হবে। সিইআটিসিতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে অ্যালকন ফাউন্ডেশন ও ফেডেক্সের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অ্যালকন কেয়ারস, অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওএসবি), বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এবং সরকারের ন্যাশনাল আই কেয়ারের (এনইসি) সহায়তায় এবারের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অরবিস ইন্টারন্যাশনাল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা। এটি বিশ্বের ২০০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে দৃষ্টি-সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাংলাদেশে অরবিসের এবারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির লক্ষ্য হলো, চোখের যত্নের মান বাড়াতে স্থানীয় চক্ষুসেবা পেশাজীবীদের দক্ষতা গড়ে তোলা ও চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।