সুন্দরবনের পশুর নদে কয়লা পরিবহনের সময় একটি লাইটার জাহাজের তলা ফেটে গেছে। এমভি ইশরা মাহমুদ নামের লাইটার জাহাজটি ৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা বহন করছিল। জাহাজটিকে পশুর নদের ইসমাইল চরে তুলে দিয়ে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছেন চালক।
বাংলাদেশ কার্গো লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের মোংলা শাখার সহসভাপতি মো. মাইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরের পশুর চ্যানেলে অবস্থান করা মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী জাহাজ এমভি প্যারাস থেকে শুক্রবার রাতে ৯৫০ টন কয়লা বোঝাই করে লাইটার জাহাজ এমভি ইশরা মাহমুদ।
যশোরের নওয়াপাড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ওই কয়লা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল কার্গোটির। রাত ১১টার দিকে কয়লা নিয়ে পশুর নদের বানীশান্তা এলাকায় একটি বয়ার সঙ্গে বেঁধে নোঙর করে লাইটারটি। আজ শনিবার ভোর ছয়টার দিকে লাইটারের মাস্টার টের পান জাহাজের ওজন বাড়ছে। তলা ফেটে পানি ঢুকছে এমন ধারণা থেকে মাস্টার দ্রুত জাহাজ চালিয়ে পশুর নদের খুলনা প্রান্তের দাকোপ উপজেলার বানীশান্তা ইউনিয়নের একটি চরে তুলে দেন। ফলে কয়লাবোঝাই লাইটারটি ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
মাইনুল ইসলাম বলেন, সকালে ঘটনাস্থলে একটি খালি বার্জ নিয়ে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত লাইটার থেকে কয়লা অপসারণ শুরু হয়েছে। দুপুরে চর থেকে নামিয়ে অন্য লাইটার ও বার্জের সাহায্যে এটিকে বয়ায় বাঁধা হয়। লাইটারটি এখন নিরাপদ আছে।
দুর্ঘটনাকবলিত লাইটারটি বন্দরের মূল চ্যানেলের বাইরে থাকায় পশুর চ্যানেল নিরাপদ আছে জানিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দরে দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ও সব ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কয়লাবোঝাই জাহাজটির তলা ফেটে গেলে সেটিকে বানীশান্তা এলাকার ইসমাইল চরে তুলে দেন মাস্টার। এতে জাহাজটি ডোবেনি। সেখান থেকে কয়লা অপসারণ শুরু হয়েছে। বন্দর চ্যানেল সচল আছে, জাহাজ চলাচলও স্বাভাবিক। তবে কীভাবে জাহাজটির তলা ফেটেছে, সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।