টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক প্রসূতি ছয়টি বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন। অস্ত্রোপচার ছাড়াই আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের জন্ম হয়। তবে প্রসবের এক ঘণ্টার মধ্যে ছয় নবজাতকই মারা গেছে। বর্তমানে ওই প্রসূতি মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ওই প্রসূতির নাম সুমনা আক্তার (২২)। তিনি উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী। ফরহাদ হোসেনের মামা উপজেলার গড়গোবিন্দপুর উদয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়া আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, সুমনা বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুমনা আক্তার প্রায় সাড়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ১৫ দিন আগে তিনি টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক গাইনি চিকিৎসকের কাছে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই চিকিৎসক জানান, সুমনার গর্ভে একাধিক বাচ্চা রয়েছে। এর পর থেকেই সুমনা নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এদিকে আজ দুপুরে সুমনা পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। একপর্যায়ে বাড়িতেই একটি সন্তানের জন্ম দেন। পরে স্বজনেরা তাঁকে দ্রুত সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার ছাড়াই আরও পাঁচটি সন্তানের জন্ম দেন সুমনা। তবে প্রসবের এক ঘণ্টার মধ্যেই সব নবজাতক মারা যায়। এদের মধ্যে চারটি ছেলে ও দুটি মেয়ে।
কুমুদিনী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শতাব্দী সাহা জানান, সন্তান ধারণের জন্য অনেকে নানা ধরনের ওষুধ সেবন করেন। এতে গর্ভে একাধিক সন্তান হয়। এসব ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের আগে প্রসূতি সন্তান প্রসব করে থাকেন এবং নবজাতকদের বাঁচার সম্ভাবনা কম থাকে। ওই গৃহবধূর ক্ষেত্রে এমন হতে পারে।