ময়মনসিংহে লেপ দিয়ে ঢাকা নারীর লাশ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা ধর্ষণের পর হত্যা

প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার একটি বাসা থেকে এক নারীর (৩৫) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার আবদুল লতিফের বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর স্বামীর বাড়ি ত্রিশাল উপজেলায়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মরদেহটি পচা-গলা অবস্থায় লেপ দিয়ে ঢাকা ছিল। ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

খবর পেয়ে নিহত নারীর স্বামী ময়মনসিংহ মেডিকেলের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রী গত শুক্রবার সকাল আটটায় বাবার বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। বেলা ১১টার পর তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সাত বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী কীভাবে ওই বাড়িতে (ঘটনাস্থল) গেল, কারা কেন তাঁকে হত্যা করল, তা বুঝতে পারছেন না।

পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, যে ঘরটিতে নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে, সেটিতে বাড়ির মালিক আবদুল লতিফের ছেলে মো. রাজীব বসবাস করতেন। তিনি নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর একা বসবাস করতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। ধারণা হচ্ছে, রাজীবই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ধর্ষণ শেষে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় নিহত নারীর পরিবারকে মামলা করতে থানায় আসতে বলা হয়েছে। রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।