মাগুরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হলেও নতুন কমিটি ঘোষিত হয়নি

মাগুরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার বিকেলে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে
ছবি: প্রথম আলো

২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মাগুরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলন শেষ হলেও তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কমিটির নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। শুক্রবার বিকেলে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী নেতাদের বক্তব্য শোনেন। সেখানে সভাপতি পদে ১৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৪১ জন নেতা আগ্রহ প্রকাশ করেন। শুক্রবার বেলা তিনটায় শহরের নোমানী ময়দানে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের। তবে তিনি উপস্থিত না হওয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান বলেন, ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার থাকতেই নির্বাচন হবে। আর বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারের উন্নয়নের পক্ষেই রায় দেবে। ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান। সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মো. রিয়াজুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. জামির হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদার। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেন।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো মাগুরায় সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বসির আহম্মেদ। যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন আইনজীবী আশরাফুজ্জামান লিটন ও রানা আমীর ওসমান। পরে বসির আহম্মেদ বিদেশে চলে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব পান আশরাফুজ্জামান লিটন। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই ওই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পান শেখ সালাহউদ্দিন। কমিটির নেতৃত্বে জেলার চারটি উপজেলা ও একটি পৌরসভার পাশাপাশি ১৬টি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন করা হয়।

মহম্মদপুর উপজেলার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণে ২০২২ সালের ২২ জুলাই ওই আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। একই বছরের ২৯ নভেম্বর ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট জেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক হন মো. রিয়াজুল হাসান ও সদস্যসচিব মো. জামির হোসেন। এই কমিটির নেতৃত্বেই শুক্রবার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।