রাজবাড়ীতে ৯০ শতাংশ লোককে দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো রাজবাড়ী–২ (পাংশা–বালিয়াকান্দি–কালুখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে সশরীর বা প্রতিনিধির মাধ্যমে তাঁকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর আজ রোববার সন্ধ্যায় অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহিনুর রহমান এ নোটিশ পাঠান। শাহিনুর রহমান নিজেই সংসদ সদস্যকে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তার রাজবাড়ী কার্যালয়ের স্মারক ও প্রথম আলোর তৃতীয় পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে অনুসন্ধান কমিটি জানতে পারে, রাজবাড়ী–২ আসনের প্রার্থী হিসেবে জিল্লুল হাকিম নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় অংশ নেন। সভায় তিনি ‘৯০ শতাংশ লোককে দিয়ে নৌকায় ভোট দিতে হবে ও নির্বাচনে ৯০ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে হাজির করতে হবে’ মর্মে বক্তব্য দেন, যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮–এর ১১(৫) ও ১২ বিধির পরিপন্থী। নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে এমন বক্তব্য নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, নির্বাচনে ৯০ শতাংশ লোককে দিয়ে নৌকায় ভোট দিতে হবে এবং নির্বাচনে ৯০ শতাংশ ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে হাজির করতে হবে বক্তব্য দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন বা এমন বক্তব্য কেন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে না, সে ব্যাপারে সশরীর হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে ১৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হলো।
এর আগে গতকাল সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘নির্বাচনে ৯০ পারসেন্ট ভোটার ভোটকেন্দ্রে হাজির করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য এই ৯০ পারসেন্ট লোককে দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ের মাধ্যমে আবার প্রধানমন্ত্রী করে আমরা এই দেশটাকে উন্নত দেশে পরিণত করব।’