বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে তাঁর পরিবার থেকে কোনো আবেদন আসেনি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চাইতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
এরপর দুপুরে কসবা উপজেলার হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের একটি ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি শর্ত মেনে নিয়েই খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন এবং তিনি সঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন। এখন বিদেশে গেলেই ওনার অবস্থা ভালো হবে, এ রকম কথা আমি ঠিক জানি না। আমি এটুকু বলতে পারি, আইন যা বলে, তাতে তাঁর যে দরখাস্ত সেটা আগেই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এখন নতুনভাবে আর কিছু করার নেই। তিনি এখানে চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং সেই চিকিৎসাই তাঁকে গ্রহণ করতে হবে।’
সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে—জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে ওই অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়নি। সামরিক আইন জারি করে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান ও জি এম কাদেরের ভাই এরশাদ।
জি এম কাদেরের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টটা ভালো করে পড়েন। তাহলে দুইটা জিনিস দেখতে পাবেন। সাইবার সিকিউরিটি আইনে বাংলাদেশের পেনাল কোডে (দণ্ডবিধি) যেসব অপরাধ ছিল সেগুলোই আছে। এর সঙ্গে টেকনিক্যাল অপরাধগুলো যোগ করা হয়েছে। আর পেনাল কোডে যেসব অপরাধ আছে, সেগুলোকে জামিনযোগ্য করে দেওয়া হয়েছে। এখানে এমন কোনো কথা নাই যেখানে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।’
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিমুল ইহসান খান, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা প্রমুখ।