বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিক হত্যা মামলায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার থানাহাট বাজারের একটি ওষুধের দোকান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাকির হোসেন চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজপাড়ার বাসিন্দা। তিনি গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। আর নিহত আশিকুর রহমান কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। তিনি উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে গিয়ে হামলায় আহত হন আশিকুর রহমান ও তাঁর ছোট ভাই আতিকুর রহমান। মাথায় আঘাত পেয়ে আশিকুর বাড়িতে ফিরে আসেন। অবস্থার অবনতি হলে ১৮ আগস্ট তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হলে ১ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। রুহুল আমিন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনের খামার গ্রামের বাসিন্দা। ওই মামলায় শিক্ষার্থী হত্যা, শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক ফারুক, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির (সূর্য) ও ইউসুফ আলমগীর।
কুড়িগ্রাম ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় করা হত্যা মামলায় জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে জাকির এজাহারভুক্ত আসামি নন। অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্য থেকে তদন্ত সাপেক্ষে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।