চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধির নির্বাচন চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপাচার্য শিরীণ আখতার বরাবর তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক ই–মেইলে এ চিঠি দেওয়া হয় বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
একই দাবিতে গত ৩ নভেম্বর এক মাসের সময় বেঁধে দিয়ে উপাচার্য শিরীণ আখতার বরাবর একটি চিঠি দিয়েছিল শিক্ষক সমিতি। এক মাসে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আবার চিঠি দিল সমিতি। তাদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন সমিতির নেতারা।
চিঠিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেটে শিক্ষক ক্যাটাগরির ছয়টিসহ আটটি পদ শূন্য। দুটি পদের মেয়াদ শেষ। তাই এই পর্ষদে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যা সম্পূর্ণভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত স্বায়ত্তশাসন তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-১৯৭৩-এর মূলনীতির পরিপন্থী।
শিক্ষকদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ছয়টি পদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউটে নিয়োগ বা পদোন্নতি বোর্ডের সদস্য মনোনয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ও শিক্ষকদের স্বার্থ সংরক্ষণে যথোপযুক্ত ভূমিকা রাখছে না বলে শিক্ষক সমাজ মনে করে। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সময় মৌখিকভাবে সিন্ডিকেট নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি। তাই তাঁরা আবার চিঠি দিয়ে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ই-মেইলে কেন চিঠি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চিঠি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সাক্ষাৎ পাননি।
শিক্ষক সমিতির এই নেতা বলেন, দ্রুত এসব দাবি না মানলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনে যাবেন। তবে কী ধরনের আন্দোলনে যাবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি এখনো ঠিক করা হয়নি। শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে চিঠির বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়ে উপাচার্যের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। তাতেও তিনি সাড়া দেননি।