ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে পাবনার বেড়া পৌর এলাকার দুই মহল্লার বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১টি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ২০টি দোকান ও অন্তত ১৫টি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন নয়ন (২০), ফারুক (৩২), সাইফুল (২২), অন্তর (১৮), সবুজ (১৮), মিজান (২৮), সাদ্দাম (২৫), আজিজুল (২৫), রুহুল (২২), সবুজ (২০) ও জাহাঙ্গীর (২৭)। এর মধ্যে পায়না মহল্লার নয়নকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যরা বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার বিকেলে বেড়া পৌর এলাকার পায়না ও শম্ভুপুর মহল্লার একদল তরুণ ও কিশোর শহীদ আবদুল খালেক স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলতে যায়। খেলার সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বাড়ি ফেরার পথে পায়না মহল্লার কয়েকজন তরুণ ও কিশোর শম্ভুপুর মহল্লার চারটি দোকানে হামলা চালায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনার জের ধরে রোববার সকাল ১০টার দিকে দুই মহল্লার লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ দুই মহল্লা ছাড়িয়ে পাশের ডাকবাংলা বাজারেও ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলাকালে পায়না মহল্লার নজরুল ইসলামের মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওই বাজারে দুই মহল্লার বাসিন্দাদের মালিকানাধীন অন্তত ১৫টি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ছাড়া শম্ভুপুর মহল্লার একটি খড়ের গাদায় আগুন দেওয়াসহ একটি মুরগির খামার থেকে শতাধিক মুরগি লুট করে নেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই মহল্লার অন্তত ১৫টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে আমরা জেনেছি। রোববার সকালে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার খবর পাওয়ামাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আর যাতে সেখানে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’