বিএনপির চট্টগ্রামমুখী রোডমার্চে যাওয়ার পথে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট এলাকায় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার বড় রাজাপুর এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় কবিরহাট উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমপক্ষে ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৫টি বাস, ১টি পিকআপ ভ্যান ও ১৫টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান জেলা বিএনপির সদস্য নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাড়িবহর বড় রাজাপুর এলাকায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়ি অতিক্রম করার পর আওয়ামী লীগের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় গুরুতর আহত উপজেলা যুবদলের নেতা মো. শুভকে (২৫) কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহত ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে কথা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, চার দিন ধরে স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে ঢাকায় অবস্থান করছেন তিনি। বসুরহাটে বিএনপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা তাঁর জানা নেই।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির গাড়িবহরে কারা নাকি ঢিল মেরেছিল। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু কারা ঢিল ছুড়েছিল, তা শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ সড়কের ওপর গাড়ির ভাঙা কাচ পড়ে থাকতে দেখে। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।