মিয়ানমারে মংডু টাউন থেকে ১৯ মেট্রিকটন চাল নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিতে নোঙ্গর করে নৌযানটি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে
মিয়ানমারে মংডু টাউন থেকে ১৯ মেট্রিকটন চাল নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিতে নোঙ্গর করে নৌযানটি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে

টেকনাফ স্থলবন্দর

২৭ মাস পর মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি

প্রায় ২৭ মাস পর কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা চালের একটি চালান এসেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ১৯ মেট্রিক টন চালভর্তি একটি নৌযান টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিতে ভেড়ে। এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি করা হয়।

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, চালগুলো ৩৮৪টি বস্তায় ভরে একটি ট্রলারে করে টেকনাফ স্থলবন্দরে নিয়ে এসেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জিন্না অ্যান্ড ব্রাদার্স। এর আগে ২০২২ সালে মেসার্স শামা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২৭৩ টন চাল আমদানি করেছিল।

মিয়ানমার থেকে আসা চালভর্তি ট্রলারটির মাঝি মো. জামাল বলেন, মিয়ানমারের মংডুর টাউন থেকে এ চাল আনা হয়েছে। আরাকান আর্মির সদস্যরা দাঁড়িয়ে থেকে ট্রলারটি চালবোঝাই করতে দিয়েছেন। চালগুলো খালাস হবে পুনরায় মংডু শহরে ফেরত যাবে ট্রলারটি।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিন্না অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী শওকত আলী চৌধুরী বলেন, মোহাম্মদ সেলিম নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর হয়ে তাঁরা চালানটি এনেছেন। চালগুলো খালাসের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাতের প্রভাবে এ বছর টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ব্যাহত হয়ে আসছিল। বেশ কিছুদিন ধরে কেবল ইয়াঙ্গুন বন্দর থেকে প্রতি মাসে ৬-৭টি পণ্যবোঝাই নৌযান টেকনাফে আসছিল। যদিও সংঘাতের আগে প্রতি সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে টেকনাফে ভিড়ত ৮-১৫টি নৌযান।

জানা গেছে, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল ও মিয়ানমার থেকে ১ লাখ টন আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৮৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ-বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন আতপ চাল আমদানি হচ্ছে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি)। মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন এ চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৫১৫ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় দাম পড়বে ৬১৮ কোটি টাকা।