নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনগুলোতে কোনো অপশক্তি, অন্যায়ের কাছে যাতে কেউ মাথা নত না করেন, সবাইকে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মতবিনিময় সভা করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এতে সভাপতিত্ব করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা, র্যাব-১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হকসহ সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কী চায়? আমরা একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সে বিষয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়েছি। এ ছাড়া কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ ও সমস্যার কথা বলেছেন, সেগুলো আলোচনা করে মোকাবিলা করা হবে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থীরা নিজ দায়িত্বে আজকে থেকে তাঁদের ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নেবেন। আজকে থেকে অভিযান চলবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সহায়তা নিয়ে এসব ব্যানার-ফেস্টুন তুলে নেওয়া হবে। অনুমোদন নিয়ে নির্বাচন ক্যাম্প করতে হবে। অনুমোদনহীন ক্যাম্প আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, কে কার আত্মীয়, কে কার আত্মীয় নন, এটা ইসির কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। একমাত্র বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, তিনি প্রার্থী কি না? প্রার্থী যার আত্মীয়ই হন না কেন, ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যাঁরা নানা অনিয়ম করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ হয়েছে, সেগুলোর বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সভায় বলা হয়, আগামী ৮ মে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।