ক্যাম্পাস সম্প্রসারণে দ্রুত জমি অধিগ্রহণের দাবিতে সমাবেশ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে প্রশাসন ভবনের সামনে
ক্যাম্পাস সম্প্রসারণে দ্রুত জমি অধিগ্রহণের দাবিতে সমাবেশ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে প্রশাসন ভবনের সামনে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের দাবি শিক্ষার্থীদের

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য দ্রুত জমি অধিগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে ওই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশ করেছেন তাঁরা। এক সপ্তাহের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের জন্য ২০৩ একর জমি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মৎস্য খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয় অধিগ্রহণে প্রস্তাব করা হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সেই জমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে। প্রস্তাবিত ওই জমি দ্রুত অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জহুরুল তানভীর, আয়মান আহাদ, সাজ্জাদ ইসলাম প্রমুখ। তাঁরা বলেন, বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশে-বিদেশে অনেক সুনাম অর্জন করছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন র‌্যাংকিয়ে স্থান পাচ্ছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে নতুন করে আর কোনো ভবন নির্মাণ করারও জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলোর কোনো বসার জায়গা নেই। বহিরাগতরা এলে নিজেদের মনে হয় তাঁরা বহিরাগত। নতুন ডিসিপ্লিনগুলোতে (বিভাগ) কোনো আদর্শ ক্লাসরুম, চেয়ার, টেবিল নেই। অনেক ডিসিপ্লিনের গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত ফিল্ড নেই। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত ২০৩ একর জমি অধিগ্রহণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণে তাঁরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ অন্য সব প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত হন ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুস সাদাত। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন। ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রশাসনের কোনো বিরোধ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ভূমি অধিগ্রহণসহ বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণের জন্য ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

অধ্যাপক মো. নাজমুস সাদাত আরও বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে ইতিমধ্যে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আমাদের ক্যাম্পাসের উত্তর-পশ্চিম অংশে সব ধরনের নতুন স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি স্থগিত করার অনুরোধ করা হয়েছে, যেন অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের জটিলতা কম হয়। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন এবং শিগগিরই তিনি চিঠি দিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের ওই ঘোষণা জানিয়ে দেবেন।’