মামলা
মামলা

মুন্সিগঞ্জে এক্সপ্রেসওয়েতে তরুণীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শাহিদা আক্তার (২২) নামের তরুণীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত ১২টার পর নিহতের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেন। আজ রোববার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী।

ওসি কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, শাহিদার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে গতকাল শনিবার রাত ১২টার পর একটি হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে, এমন আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণে শাহিদাকে হত্যা করা হতে পারে।

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের সমসপুর এলাকার দোগাছি সার্ভিস সড়ক থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় লাশের পাশে কয়েকটি গুলির খোসা পড়ে ছিল। নিহতের শরীরে আটটি গুলির ছিদ্র রয়েছে।

এ বিষয়ে খুন হওয়া তরুণী শাহিদা আক্তারের মা জরিনা বেগম বলেন, ‘ঢাকার ওয়ারী এলাকার তৌহিদ নামের এক ছেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তৌহিদ ছেলে হিসেবে ভালো ছিল না। এ জন্য শহিদাকে তৌহিদের সঙ্গে চলাফেরা করতে নিষেধ করেছিলাম। এ ছাড়া প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে আমার মেয়েকে ওই ছেলে রাস্তার মধ্যে মারধর করেছে। এরপরও তৌহিদ আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করছিল।’

জরিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার রাত আটটার পর তাঁর মেয়ে ঢাকার বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে মুঠোফোন বন্ধ ছিল। তাঁদের ধারণা, তৌহিদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন শাহিদা। তৌহিদই তাঁর মেয়েকে খুন করেছে। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চান।

মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বদিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মামলার ঘটনার পর থেকে সম্ভাব্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তবে নিহতের মা জনসমক্ষে সন্দেহভাজন একজনের নাম প্রকাশ করে দিয়েছেন। এর পর থেকে সন্দেহভাজনও পলাতক। তবে খুব দ্রুত এই হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।