চার ঘণ্টা পরও উদ্ধারকারী ট্রেন পৌঁছায়নি, ডাউনলাইন দিয়ে চলাচল
গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগন্যালে আজ শুক্রবার দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দুর্ঘটনার চার ঘণ্টার পরও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে বেলা আড়াইটা থেকে বিভিন্ন স্টেশনে থেমে থাকা ট্রেনগুলো ডাউনলাইন দিয়ে চলাচল শুরু করেছে।
আজ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৯টি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হন। ভুল সিগন্যাল দেওয়ার কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ আলী বলেন, ভুল সিগন্যাল দেওয়ার কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য ছোট দেওড়া এলাকায় আবগোমটি ঘরের মাস্টার হাসেম আলী ও পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে থেমে থাকা ট্রেনগুলোর কারণে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে আসতে দেরি হচ্ছে। ওই ট্রেনগুলো চলে যাওয়ার পরই উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে আসতে পারবে।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকালে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন। শুক্রবার ছুটির দিনে ট্রেনে যাত্রী ছিল কম। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে পৌঁছায়। এদিকে এ সময় সেখানে আসে ঢাকা থেকে তেলবাহী একটি ট্রেন। আউটার সিগন্যালে একজন মাস্টারসহ তিনজন দায়িত্ব পালন করেন। আগে থেকে নির্দেশনা পেয়ে তাঁরা সিগন্যাল পরিবর্তন করে ট্রেনগুলো কোন লাইনে যাবে, সেটি পরিবর্তন করেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ট্রেনের মাস্টার ও পয়েন্টম্যান ভুল করে যাত্রীবাহী ট্রেনটি অন্য লাইনে ঢুকিয়ে দেন। এতে তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই চালকসহ চারজন আহত হন।
ওই ঘটনার পর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ওই ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে ডাউনলাইনে দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর কিছু সময় পর একতা এক্সপ্রেস জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।