সিলেটে ছুরিকাঘাতে আরিফ আহমেদ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আনহাছ আহমদ ওরফে রনি (২৩) ও মামুন মজুমদার (৩২) নামের এই দুজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত থেকে অভিযান চালিয়ে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ আটকের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, আটক রনি ও মামুন ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদের পক্ষে সক্রিয় ছিল। তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এলাকায় দুজন বখাটে হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বালুচর টিবি গেট এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে কয়েক যুবক আরিফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এ সময় আরিফের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। আরিফ খুনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে আসেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
আরিফ আহমদ বালুচর এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আরিফ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের সঙ্গে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। তবে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।
ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল ইসলামের অভিযোগ, আরিফকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদের পক্ষের কর্মীরা ছুরিকাঘাত করে খুন করেছেন। অবশ্য এ বিষয়ে হিরণ মাহমুদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, সোমবার রাতেই সিলেট নগরের বালুচর এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।