ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে লাইসেন্স করা শটগান নিয়ে দোড়ঝাঁপ করা আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজালালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ সোমবার ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। রিমান্ড শুনানি না হওয়ায় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মো. শাজহালাল হৃদয় (৪৫) ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। গত ৪ আগস্ট ময়মনসিংহে আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ছাত্র–জনতার আন্দোলন প্রতিহত করতে হাতে শটগান নিয়ে তাঁর তৎপরতা চালানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
র্যাবের একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে চরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহজালালকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামসুজ্জামান।
র্যাব জানায়, ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতে নিজের লাইসেন্স করা শটগান নিয়ে অপতৎরতা চালান শাহজালাল। নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ছাড়া লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের সুযোগ না থাকলেও অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে অপতৎপরতা চালান তিনি। তাঁর আগ্নেয়াস্ত্রটি ইতিমধ্যে থানায় জমা পড়েছে বলে জানায় র্যাব।
গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরের মিন্টু কলেজ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রেদোয়ান হোসেন (২৪)। এ ঘটনায় হওয়া একটি হত্যা মামলায় শাহজালালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ বিকেলে শাহজালালকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু রিমান্ড শুনানি না হওয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়।