মামলা
মামলা

পঞ্চগড়ে সাবেক মন্ত্রী কামরুলের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও করতোয়া পত্রিকার সম্পাদক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়েছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধাদানকারী বলে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গতকাল রোববার মো. ইউনুস শেখ বাদী হয়ে পঞ্চগড় আদালতে এই মামলার আবেদন করেন। দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় ওই সংবাদ প্রকাশ করায় সম্পাদককেও আসামি করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসান মামলাটি সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আদম সুফি মামলাটির বিষয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার বাদী ইউনুস শেখ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব কবিতা কণ্ঠ পরিষদের এক সভায় তৎকালীন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের চর ছিলেন। এমনকি জিয়াউর রহমানের কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়াও যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধা সৃষ্টি করেছেন।’ এই বক্তব্য ঘটনার দিন মামলার বাদী শুনেছেন এবং পরদিন দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় প্রকাশ হলে তিনি সেখানেও তা দেখে হতবাক হয়েছেন।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরনের অশালীন এবং মানহানিকর কথা বলায় বাদী একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে ও বিএনপি পরিবারের সদস্য হিসেবে মর্মাহত হয়েছেন। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণপত্র ছাড়াই দৈনিক করতোয়া পত্রিকার প্রথম পাতায় ৬ নম্বর কলামে জেনেবুঝে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তাঁর (বাদী ইউনুস শেখের) ১০০ কোটি টাকার মানহানি ও ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি এই মামলা করেন।