রূপসা নদীতে গত রোববার দুপুরে রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে টিএসপিবোঝাই কার্গোটি ডুবে যায়
রূপসা নদীতে গত রোববার দুপুরে রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে টিএসপিবোঝাই কার্গোটি ডুবে যায়

রূপসায় কার্গোডুবির তৃতীয় দিনেও দুজনের খোঁজ মেলেনি

খুলনার রূপসা রেলসেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যাওয়া সারবাহী কার্গো থেকে নিখোঁজ দুজনের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এদিকে ডুবে যাওয়া কার্গোর অবস্থান শনাক্ত করা হলেও সেটি উদ্ধারে কোনো তৎপরতা শুরু হয়নি।

গত রোববার দুপুরে রূপসা নদীতে রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে টিএসপিবোঝাই কার্গোটি ডুবে যায়। ওই ঘটনায় জাহাজে থাকা ১৩ জনের মধ্যে ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁরা হলেন জাহাজের বাবুর্চি আবুল কালাম ও গ্রিজার শাকায়েত হোসেন।

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার কার্গোডুবির পর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল। এরপর সোমবার উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও বেসরকারি ডুবুরি দল। তাদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ দেয় কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। দ্বিতীয় দিনেও নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আজ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।

এমভি থ্রি লাইট-১ নামের কার্গোটি মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ১ হাজার ১৪০ টন টিএসপি নিয়ে নওয়াপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গোটি রূপসা রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়। মূলত কার্গোর ‘ইলেকট্রিক সুকান’ ফেল করে ব্রেক অকেজো হয়ে পড়ায় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। ওই সময়ে নদীতে জোয়ার ছিল এবং বৃষ্টি হচ্ছিল। কার্গো জাহাজের অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। এটি রেলসেতুর ৭৩ নম্বর পিলার থেকে ২০ গজ উত্তরে নদীর তলদেশে আছে।

রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক নুরুল ইসলাম শেখ আজ বেলা দুইটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার অভিযান তৃতীয় দিনের মতো চলমান রয়েছে। কার্গোর কেবিনসহ অন্যান্য অংশে তল্লাশি করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্য জায়গাতেও তল্লাশি চলছে। ডুবুরিরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধার করা হলে অভিযান বন্ধ করা হবে।

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের খুলনার পরিদর্শক রাশেদুল আলম জানান, কিছু কার্গো জাহাজ চট্টগ্রামে এবং কিছু মোংলা অঞ্চলে চলে। যেগুলো একটু ছোট, সেগুলো সাধারণত মোংলায় চলে। ডুবে যাওয়া জাহাজটি চট্টগ্রামে চলাচল করত। সেখানে পণ্য না থাকায় মোংলায় এসেছিল। এতে ধারণক্ষমতার মধ্যেই পণ্যবোঝাই ছিল বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে সমন্বয় করে মালিকপক্ষই সাধারণত এগুলো উদ্ধার করে।

পরিদর্শক নুরুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘কার্গোটি উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়নি। আমরা শুধু নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছি। নদী থেকে জাহাজ ওঠানোর কাজ করবে মালিকপক্ষ। এ জন্য জাহাজ উদ্ধারে এখনই আমাদের কোনো প্রচেষ্টা নেই। জাহাজটি ১০–১৫ দিন পর উদ্ধার করলেও কোনো সমস্যা হবে না।’