ময়মনসিংহ নগরের শিকারিকান্দা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অপর দুজনের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।
পরিচয় পাওয়া দুজন হলেন সাদ্দাম হোসেন (৬০) ও মো. রকিব (৩২)। তাঁদের মধ্যে সাদ্দাম বাসটির চালক ও রকিব চালকের সহকারী। সাদ্দামের বাড়ি ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর এলাকায় আর রকিবের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা গ্রামে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত আরও দুজনের পরিচয় এখনো অজ্ঞাত। তাঁদের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শিকারিকান্দা এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ঢাকা থেকে শেরপুরগামী ফাইয়াজ অ্যান্ড তাজ নামের বাস সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এ সময় বাসটি একটি পিকআপ ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় বাসের চালক, চালকের সহকারীসহ চারজন নিহত হন। আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৩ জন।
পুলিশ ও দুর্ঘটনার শিকার বাসে থাকা একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা থেকে শেরপুরগামী বাসটি চৌরাস্তা পার হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া গতিতে চলছিল। এতে যাত্রীরা ভয় পেয়ে চালককে বারবার আস্তে চালানোর জন্য বললেও চালক তা শোনেননি। পরে ময়মনসিংহ শহরতলির শিকারিকান্দা বাইপাস এলাকায় বাসটি একটি পিকআপ ভ্যানকে অতিক্রম করার সময় ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি ডান পাশের সড়ক বিভাজকে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। দুর্ঘটনাস্থলে দুজন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজন মারা যান।
দুর্ঘটনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। দুর্ঘটনার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ।