রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে সেখানে অবস্থান নেন তাঁরা। বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা সরে যান।
বিক্ষোভ চলাকালে আন্দোলনকারীরা ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, ‘আমার ভাই নিহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘মেধা না কোটা, মেধা মেধা’, ‘ছাত্রলীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। এতে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সদস্যরা ছিলেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে আজ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি৷ তাঁরা সারা দেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছেন। এতে তাঁদের ভাইয়েরা নিহত হয়েছেন। তাঁরা এক দফা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, ‘মনে অনেক কষ্ট নিয়ে আজকে রাজপথে দাঁড়িয়েছি। আমাদের ভাই-বোনদের মৃত্যু বৃথা হতে দেব না। প্রয়োজন হলে আমরাও রাজপথে জীবন দেব। গতকালও আমাদের ওপর পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। আমাদের আন্দোলনের যে দাবি রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করেই রাজপথ ছাড়ব।’
বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান। তাঁদের অনেকেই বিনোদপুর বাজারের দিকে চলে যান।