গণসমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। আজ বুধবার রংপুর নগরের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে
গণসমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। আজ বুধবার রংপুর নগরের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে

ভারতের আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ: চরমোনাই পীর

বাংলাদেশের বিজয় দিবস নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা কষ্ট পেয়েছি।’

আজ বুধবার বিকেলে রংপুরের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, ‘ভারতকে বলব, এ দেশের লাখ লাখ মানুষ দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর এটা নাকি স্বাধীন করেছে ভারত। আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা তাঁরা স্বীকার করে না। আমরা বলব, আপনারা ভালো করে জেনে রাখুন, বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ দেশের ব্যাপারে।’

ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে যদি কোনো ষড়যন্ত্র হয়, তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাঁদের জীবন দিয়ে প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছে বলেও মন্তব্য করেন চরমোনাইয়ের পীর।

অন্তর্বর্তী সরকার ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের ফসল উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ‘আপনারা কিন্তু জনগণের ভোটে সরকার ও দেশ পরিচালনা করছেন না। দেশ পরিচালনার ব্যাপারে কখনো জনগণ ও বাংলাদেশের অকল্যাণের কোনো চিন্তা যদি আপনাদের মাথায় আসে, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে বাধ্য হব।’
ইসলামী আন্দোলন সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চায় বলে উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল একমত। কিন্তু বিএনপি এটাকে পছন্দ করছে না।’

রেজাউল করিম অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ৫৩ বছরে যারা দেশ পরিচালনা করেছে, তারা বারবার ইসলামি দলকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের পরগাছার ভূমিকায় রেখেছে।’ জুলাই-আগস্টের পরে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমতায় নেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলন রংপুর মহানগরের সভাপতি মাওলানা আবদুর রহমান কাসেমীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন রংপুর মহানগর কমিটির সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আমিরুজ্জামান, মাওলানা মোসলেম উদ্দীন, নুর মোহাম্মদ জিহাদী, মোহাম্মদ আবু রায়হান প্রমুখ।