বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা আবারও ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে অষ্টম দফায় শুধু রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও এবার নবম দফায় থানচি উপজেলাকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। এ সময়ে তিনটি উপজেলায় দেশি-বিদেশি কোনো পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন না। আজ শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় গত ৯ অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলমান। ২৩ অক্টোবর থানচি ও আলীকদমকে অভিযানের আওতায় নেওয়া হয়। অভিযান চলাকালে নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ১৭ অক্টোবর থেকে পর্যটক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে ২৩ অক্টোবর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থানচি উপজেলা থেকে ১৬ নভেম্বর প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর আলীকদম থেকে তা প্রত্যাহার হয়েছিল ১২ নভেম্বর।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন সদর দপ্তরের ১ ডিসেম্বরের চিঠির ভিত্তিতে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো। জনস্বার্থে ও নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে এর আগে ২৭ নভেম্বর অষ্টম দফায় জারি করা নিষেধাজ্ঞা আগামীকাল রোববার শেষ হওয়ার কথা ছিল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের গোপন আস্তানায় সমতলের জঙ্গিগোষ্ঠীর অবস্থান ও প্রশিক্ষণের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলমান। থানচিকেও এবারে আবার অভিযানের আওতায় আনা হয়েছে। জঙ্গিবিরোধী এ অভিযানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ও কেএনএফের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের একটি অংশের সদস্যরা এখনো দুর্গম এলাকায় অবস্থান রয়েছে। জঙ্গিদের অবস্থান নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। অভিযান চলাকালে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ভ্রমণের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।