ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ছয় বছর বয়সী এক মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত দিন ধরে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ অভিযুক্ত তরুণকে (১৯) আটকের জন্য একাধিকবার অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করতে পারেনি।
গত ২৫ আগস্ট বিকেল চারটার দিকে উপজেলার বুরাইচ ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই তরুণ একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিশুটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার বাবা রিকশা চালিয়ে ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শিশুটির এক ভাই রয়েছে।
শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেলে ওই শিশু বাড়ির কাছে একটি পুকুরপাড়ে ঘুরতে যায়। সে সময় ওই তরুণ তাকে একা পেয়ে পুকুরপাড়ে একটি পাটখড়ির গাদায় নিয়ে ধর্ষণ করেন।
শিশুটির পরিবার দরিদ্র হওয়ায় এবং অভিযুক্ত তরুণের পরিবার অবস্থাপন্ন হওয়ায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মামলা না করার জন্য শিশুটির পরিবারের ওপর ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছেন।শিশুটির এক নানা
শিশুটির এক নানা জানান, আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে প্রথমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে শিশুটিকে ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার শিশুটিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন।
ওই স্বজন বলেন, শিশুটির পরিবার দরিদ্র হওয়ায় এবং অভিযুক্ত তরুণের পরিবার অবস্থাপন্ন হওয়ায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মামলা না করার জন্য শিশুটির পরিবারের ওপর ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছেন।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ওই তরুণকে আটকের জন্য একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, শিশুটির পরিবারকে দ্রুত মামলা দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ামাত্র মামলাটি এজাহারভুক্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।