কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে এবার রেকর্ড পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে এবার রেকর্ড পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে

পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে এবার রেকর্ড পরিমাণ টাকা

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে এবার ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। প্রায় আড়াই শ মানুষ গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দিবাগত রাত দেড়টা পর্যন্ত টানা ১৮ ঘণ্টা গণনা করে এই পরিমাণ টাকা পেয়েছেন। এ ছাড়া পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা।

প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

৪ মাস ১০ দিন পর গতকাল পাগলা মসজিদের নয়টি দানসিন্দুক ও একটি বড় স্টিলের ট্রাংক খোলা হয়। সেখানে ২৭ বস্তা টাকাসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।

জেলা শহরের নরসুন্দা নদীতীরের ঐতিহাসিক এই মসজিদে নয়টি লোহার দানসিন্দুক আছে। তবে এবার রোজা ও ঈদের কারণে সিন্দুকগুলো আগেই ভরে যাওয়ায় সপ্তাহ দুই আগে দুই সিন্দুকের সমান আরও একটি স্টিলের ট্রাংক যোগ করা হয়। তিন থেকে চার মাস পরপর এই সিন্দুক খোলা হলেও এবার একটু দেরিতে ৪ মাস ১০ দিন পর খোলা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল দানবাক্সগুলো। তখন ২৩ বস্তার মধ্যে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।

এবার ৪ মাস ১০ দিন পর পাগলা মসজিদের নয়টি দানসিন্দুক ও একটি বড় স্টিলের ট্রাংক খোলা হয়

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ছয়তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য একটি মেগা প্রজেক্ট করা হবে। এতে মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অর্ধলাখ মুসল্লি যাতে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন, এ রকম আকর্ষণীয় একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা হয়ে থাকে।