জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুলাল খাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তিনি চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুলাল খাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তিনি চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

শিবচরে জমি নিয়ে বিরোধে দম্পতিকে কুপিয়ে জখম

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক দম্পতিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার ভদ্রাসন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন ভদ্রাসনের দোলাই খাঁর ছেলে কাঠমিস্ত্রি দুলাল খাঁ (৪২) ও দুলালের স্ত্রী আসমা বেগম (৩৬)। দুলালের ডান চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাসেল উদ্দিন ওরফে লিটন মোল্লা (৫৫)। তিনি একই এলাকার আনোয়ার হোসেন মোল্লার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভদ্রাসন এলাকার বাসিন্দা দুলাল খাঁর সঙ্গে একই এলাকার রাসেল উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। জমি নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান আছে। এর জেরে আজ সকালে রাসেল উদ্দিন তাঁর লোকজন নিয়ে দুলাল খাঁর পরিবারের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। এ সময় দুলালের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। বাধা দিতে গেলে দুলালকে কুপিয়ে জখম করা হয়। হামলাকারীদের বাধা দিলে দুলালের স্ত্রী আসমা বেগমকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এরপর আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দুলাল খাঁর ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আসমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে আজ ওরা মেরেই ফেলত। ডান চোখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। জানি না চোখের কী হবে? শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিছে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে লিটন মোল্লা ও তার লোকজন আমাকেও কোপ দেয়। লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’

জানতে চাইলে রাসেল উদ্দিন লিটন মোল্লা বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধ, তাই তারা যা বলবে, তা তো সঠিক নয়। আমি ও আমার কোনো লোকজন তাদের ওপর হামলা চালাইনি। তারা ফাঁসানোর জন্য আমার নাম বলে হয়রানি করতে চায়।’

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।