সিরাজগঞ্জে রোকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ শনিবার দুপুরে পৌর শহরের দারুল ইসলাম একাডেমি মাঠে
সিরাজগঞ্জে রোকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ শনিবার দুপুরে পৌর শহরের দারুল ইসলাম একাডেমি মাঠে

যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁরাই আমাদের প্রকৃত বন্ধু: জামায়াতের আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সবাই আমার মনের মতো পছন্দের কথা বলবেন না, এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। এ জন্য সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতা আমাদের থাকতে হবে। যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁরাই আমাদের প্রকৃত বন্ধু। যাঁরা আমার সমালোচনা করেন না, আমার ভুল দেখেও নীরব থাকেন, তাঁরা আমার বন্ধু হতে পারেন না। আমরা সমালোচনাকে অভিনন্দন জানাই ও উৎসাহ দিই।’

আজ শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ দারুল ইসলাম একাডেমি মাঠে আয়োজিত দলের রোকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমির শাহীনুর আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর আপনারা স্বাধীন ছিলেন না। ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় হোক আপনারাও মজলুম দলগুলোর বিরুদ্ধে কলম চালিয়েছেন। অনেকেই বলেন, চাপের জন্য আপনারা অসহায় ছিলেন। এ জন্য আপনাদের দায়ী করব না। আল্লাহ এখন আপনাদের কণ্ঠ মুক্ত করে দিয়েছেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এখন যেন আপনাদের বিবেক অনুযায়ী এই পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখন জাতীয় ঐক্যের বড়ই প্রয়োজন। জাতির মৌলিক ইস্যুতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সব দল তার নিজস্ব জায়গা থেকে রাজনীতি করবে, বিবেকের তাড়নায় যা বলার তা বলবে, বর্তমান সরকারেরও প্রয়োজনীয় সমালোচনা করবে। আবার এই সরকার যেন সংস্কারের কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারে, সে জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতাও দেবে। এভাবে ভারসাম্যপূর্ণ রাজনীতির মধ্যে দিয়ে সবাই এগিয়ে যাক। দল ও মত ভিন্ন থাকবে, এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ তার মুক্তির যে পথে উঠেছে, গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত সেটি চলতে থাকুক। কোনো অপশক্তি যদি বাংলাদেশকে এই রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চায়, তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাত তাদের প্রতিহত করে দেবে ইনশা আল্লাহ।’ এ সময় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরে সব চেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের শিকার দল জামায়াতে ইসলামী বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণের নায়েবে আমির হেলাল উদ্দিন, আবু তালেব মণ্ডল ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আবদুস সামাদসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।