গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পেছনের দরজার কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। শনিবার সন্ধ্যায়
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পেছনের দরজার কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। শনিবার সন্ধ্যায়

কাপাসিয়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পেছনে ককটেল বিস্ফোরণ

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পেছনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় সূত্র জানায়, কাপাসিয়া উপজেলা সদরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি অবস্থিত। কার্যালয়টি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আজ সেখানে দিনভর নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে সেখানে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া যায়।

কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পেছনের দরজার কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এ ছাড়া একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় কার্যালয়ে ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী ছিলেন। তবে কেউ আহত হননি। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এটা তাঁদের কাজ হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

তবে আওয়ামী লীগের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের কেউ ঘটাননি। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যেই বিরোধ চলমান। নিজেদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়ে তাঁরা আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। তাঁদের অভিযোগ সঠিক নয়।’

কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানে। তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে। কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পেছনের দরজার পাশে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত ও অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।